নিজস্ব প্রতিবেদক
স্টেডিয়াম পাড়ার রেঁস্তোরা রোদেলা বিকেলের বাহারী খাবারে তৃপ্ত কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত লি ইউন ইয়াং ও ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ইয়ান ওয়ারিন্তা আতমাদজা। বিশেষত বিরানী, কাবাব, কুলপি ও চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহি মেজবানির মাংসের প্রশংসা করেন তারা। খবর বাংলানিউজের।
২৩তম পিএইচপি অ্যামেচার গলফ টুর্নামেন্টে অংশ নিতে চট্টগ্রাম আসেন দুই রাষ্ট্রদূত। দুপুরে পিএইচপির পক্ষ থেকে ‘রোদেলা বিকেল’ এ খাবারের আয়োজন করা হয়। এতে অংশ নেন ইন্দোনেশিয়ান দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স আবদুল নাজার, মিয়ানমার দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স মি. কার্মা, পিএইচপি গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন চৌধুরী, পিএইচপি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হোসেন চৌধুরী।
কোরিয়ান রাষ্ট্রদূত লি ইউন ইয়াং বলেন, ‘হসপিটালিটিতে হসপিটালে যাওয়ার অবস্থা। এমন তৃপ্তি নিয়ে খুব কম খাওয়া হয়। এ পর্যন্ত ৮ বার আমি চট্টগ্রাম এসেছি। কিন্তু এবারের অভিজ্ঞতা অন্যরকম। আমি দেশ বিদেশে বিভিন্ন জায়গায় খেয়েছি, সত্যি বলতে কি এমন টেস্ট কোথাও পাইনি।’
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ইয়ান ওয়ারিন্তা আতমাদজা বলেন, ‘এবারসহ দু’বার চট্টগ্রামে এসেছি। কিন্তু এবার পিএইচপির আমন্ত্রণে চট্টগ্রাম আসলাম। এবারের আতিথেয়তা সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিশেষ করে বিরানী, কাবাব এবং মেজবানির মাংস। যা আমার খুবই ভালো লেগেছে। বিরানী আমি ঢাকায়ও খেয়েছি। কিন্তু চট্টগ্রামের বিরানী এক কথায় অসাধারণ।’ পিএইচপি গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান মহসিন চৌধুরী বলেন, ‘শুরু থেকেই আমি রেঁস্তোরাটির খাবারে আসক্ত। অনেকে থাই, চাইনিজ, ইন্ডিয়ান রেঁস্তোরা পছন্দ করে। এগুলো নামে হলেও খাবারের কোন মান রক্ষা করা হয় না। এখানে খাবারে ভালো মানের উপাদান ব্যবহার করা হয়, যা আমার কাছে স্বাস্থ্যকর এবং খুবই সুস্বাদু মনে হয়েছে। তাই বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের এখানে নিয়ে এসেছি।’ পিএইচপি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘রেঁস্তোরাটির মোগলাই কুলপি খুবই ভালো লেগেছে। বিভিন্ন জায়গায় খেয়েছি কিন্তু এখানে খাবারের স্বাদ অসাধারণ।’ কাঁচের স্বচ্ছ ছাদে দিগন্ত বিস্তৃত খোলা আকাশ। পাশে সবুজে মোড়ানো মাঠ। টেবিলে জিহ্বা পোড়ার মতো গরম খাবার। খেতে খেতেই জমে উঠবে রোদেলা বিকেলের আড্ডা। পাশেই সড়কে গাড়ির শব্দ, রিকশার টুংটাং আর পথচলতি মানুষের কোলাহল। কিন্তু তবুও মনে হবে এসব থেকে অনেক দূরে আপনি। এমন পরিবেশে আড্ডার পাশাপাশি খাবারের এই স্বাদ নিতে আপনিও চলে আসতে পারেন রোদেলা বিকেলে। রোদেলা বিকেলের ব্যবস্থাপক মাহবুবুল আলম বলেন, ‘এক বছরে রসনা বিলাসীদের যে সাড়া পেয়েছি তা আমাদের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে। ফ্রেশ এবং টেস্টি ফুড পরিবেশনের ক্ষেত্রে আমরা কোনো রকম কম্প্রোমাইজ করি না। আবার খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য শরীরের ক্ষতিকর টেস্টিং সল্টও ব্যবহার করি না।’ রেঁস্তোরাটির খাবারে যেসব উপাদান ব্যবহার হয় তাও অবিশ্বাস্য। তবে সত্যি। স্প্যানিশ অলিভ, কানাডার কোনোলা, মালয়েশিয়ার সানফ্লাওয়ার অয়েল, দুবাইয়ের নিডো গুঁড়ো দুধ ও লিপটন টি ব্যাগ, অস্ট্রেলিয়ার চিনি, সুইজারল্যান্ডের গোল্ড কফি, ইন্ডিয়ান কাশ্মিরি মরিচ, ভেজিটেবল ডালডা, বাসমতি চাল ও মশলা, স্পেনের জাফরান, কাপ্তাই লেকের মাছ, বাঁশখালীর দেশি মুরগী, কুষ্টিয়ার খাসি, মীরসরাইয়ের দেশী গরু, হাতিয়ার হাঁসসহ দেশী বিদেশী সেরা উপাদানে তৈরি হয় এখানকার সুস্বাদু খাবার। এমন সব বৈচিত্রময় খাবারের স্বাদ নিতে চাইলে আপনিও আগেই বুক করে রাখতে পারেন ০১৬১৬৪৪৪৪৬৬ অথবা ০১৮৪২৫০০৩৩৩ নম্বরে ফোন করে।
Originally Published in The Daily Azadi